
রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল চত্বরে ভয়াবহ একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় হাসপাতালের ভেতরে সেবা কার্যক্রম চলছিল, কিন্তু ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। হামলাকারীরা পরে তার নিথর দেহটি রাস্তায় টেনে এনে মানুষের সামনে নৃশংসভাবে উপহাস ও উল্লাস করে।
সিসি ক্যামেরা ও পথচারীদের মোবাইল ভিডিওতে দেখা গেছে, সোহাগকে কুপিয়ে হত্যার পর তার নিথর দেহ রাস্তার ওপর ফেলে একাধিক যুবক ঘুষি মারছে, কেউ কেউ লাশের বুকে লাফাচ্ছে। এই ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে এবং মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
ডিএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার জানান, ঘটনায় দুইজন—মহিন ও তারেক—কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি ব্যক্তিদেরও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সোহাগ ওই এলাকার একটি ভাঙারি দোকানের মালিক ছিলেন এবং পুরোনো বৈদ্যুতিক তার কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার ব্যবসায়িক আধিপত্য ছিল বেশ বিস্তৃত, যা নিয়ে সম্প্রতি অপর একটি গ্রুপের সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়। মূলত ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করেই এই হামলার সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের পরিবার জানায়, সোহাগকে পরিকল্পিতভাবে তার দোকান থেকে ডেকে আনা হয়, এবং এরপরেই ঘটে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড। পরিবারের পক্ষ থেকে সোহাগের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে প্রায় ২০ জনের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১১ জুলাই ২০২৫
আপনার মতামত লিখুন