
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উপদেষ্টা আলি লারিজানি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার আগেই ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের নিরাপত্তা, রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভয়াবহ হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে লারিজানি বলেন,
"আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি বার্তা পেয়েছি। সেখানে লেখা ছিল— ‘তোমার হাতে মাত্র ১২ ঘণ্টা সময় আছে তেহরান ছাড়ার জন্য। না হলে রাশিদ ও বাঘেরির মতো পরিণতি তোমারও হবে।’ আমি সেই হুমকির যথাযথ জবাব দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল কেবল একটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেনি—
বরং তাদের লক্ষ্য ছিল ধারাবাহিক আক্রমণের মাধ্যমে ইরানের শাসনব্যবস্থার ভিত্তি নাড়িয়ে দেওয়া।
এমনকি সরকারের উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে হামলা চালানো এবং সর্বোপরি খামেনিকেও টার্গেট করার ছক কষা হয়েছিল।
লারিজানি উল্লেখ করেন,
“যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছিল—এই যুদ্ধের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে উৎখাত করা। কী বোকামি! অথচ তার চেহারাই বলে দেয় সে কতটা বোকার স্বর্গে বাস করে।”
এই হুমকির বিবরণ হুবহু মিলে যায় সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি মার্কিন অডিও ফাইলে।
সেখানে শোনা যায়, এক ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তা এক শীর্ষ ইরানি জেনারেলকে ফোনে হুমকি দিচ্ছেন—
> "তোমার হাতে মাত্র ১২ ঘণ্টা আছে। তোমার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তেহরান ছাড়ো। না হলে মনে রেখো—তুমি আমাদের তালিকায় আছো। শুধু তুমি না—তোমাদের একজন একজন করে সবার নামই রয়েছে। আমরা তোমাকে আঘাত করব, তোমার পরিবারকে, তোমার সন্তানদের—কাউকে বাদ দেব না।”
এই ভয়াবহ হুমকি এবং হামলার পরিকল্পনা এখন ইরানে নতুন করে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইসরায়েল-ইরান সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা নিয়ে গভীর শঙ্কা তৈরি করেছে।
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ জুলাই ২০২৫
আপনার মতামত লিখুন