সাবেক স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা ওমানফেরত প্রবাসীর
গুলকিবাড়ি এলাকায় একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেময়মনসিংহ শহরের গুলকিবাড়ি এলাকায় সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর রাকিবুল করিম (৫০) নামের এক ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারী রওশন আক্তার (৪২) নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা। তিনি মেয়েদের নিয়ে গুলকিবাড়ির একটি ভাড়া বাসায় সাবলেট হিসেবে বসবাস করতেন।পুলিশ জানায়, রাকিবুল করিম ময়মনসিংহ শহরের সেনবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও একজন ওমানপ্রবাসী। তিন মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। নিহত রওশন আক্তার তাঁর সাবেক স্ত্রী, যাঁকে তিনি এক বছর আগে তালাক দেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রওশন আক্তার ও রাকিবুল করিমের সংসার ছিল প্রায় ২৬ বছরের।তাদের দুটি মেয়ে রয়েছে—একজন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, অন্যজন ময়মনসিংহে কলেজে পড়েন।দাম্পত্য কলহের কারণে রাকিবুল করিম প্রবাসে থাকা অবস্থাতেই স্ত্রীকে তালাক দেন।দেশে ফিরে তিনি পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলেও রওশন আক্তার রাজি হননি।মঙ্গলবার ভোরে রাকিবুল করিম হঠাৎ রওশন আক্তারের বাসায় প্রবেশ করেন এবং তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন।এই সময় রওশনের ছোট মেয়ে পাশের রুমে থাকলেও হামলার হাত থেকে রক্ষা পান।রওশনকে হত্যার পর রাকিবুল বাসার অন্য একটি কক্ষে গিয়ে সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ বাসা থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন:“প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক কলহজনিত হত্যাকাণ্ড ও আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান:“গত ২৪ জুন ওমান থেকে দেশে ফেরেন রাকিবুল করিম। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ঢুকে প্রথমে সাবেক স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন এবং পরে গলায় ফাঁস দেন। মৃত্যুর আগে জমিজমার কাগজপত্র তাঁর মেয়েকে বুঝিয়ে দেন।”